ঢাকা | মার্চ ১০, ২০২৫ - ৭:২৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ঝিনাইদহে ১০ টাকায় বাহারি ইফতার, প্রশংসায় ভাসছেন শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট: Tuesday, March 4, 2025 - 5:06 pm
খুলনা ব্যুরো।। ঝিনাইদহে মিলছে মাত্র ১০ টাকায় ইফতারি।রমজানে সত্যিই এমন উদ্যোগ ব্যতিক্রমী। এক প্যাকেট ইফতারিতে আছে- ছোলা, মুড়ি, চপ, বেগুনি এবং খেজুর। এমন ইফতারির আয়োজন করেছে ঝিনাইদহ রাইজিং ইয়ুথ সোসাইটি।
রমজানের প্রথম দিন থেকেই এমন ইফতারি সংগ্রহ করতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ঝিনাইদহ শহরের প্রাণ কেন্দ্র পায়রা চত্বরে ইফতারি বিক্রিতে ব্যস্ত ঝিনাইদহ রাইজিং ইয়ুথ সোসাইটির সদস্যরা। মূলত ইফতারের সময় যাদের বাইরে থাকতেই হয় যেমন, ভ্যান-রিকশা ওয়ালা, অসহায়, দুঃস্থ ও গরিব মানুষদ। তাদের জন্যই এ আয়োজন।
ইফতারি কিনতে আসা রিকশা চালক ইমান আলী জানান, এ উদ্যোগকে সাধুবাদ না জানিয়ে উপায় নেই। আমাদের মতো মানুষদের নিয়ে যারা ভাবে তাদেরকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
সাধারণ এক ক্রেতা জহিরুল ইসলাম জানান, সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ওরা এগিয়ে যাক এই দোয়া করি।
ঝিনাইদহ রাইজিং ইয়ুথ সোসাইটি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা মুহাহিদ জোয়রাদার জানান, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টাই মূলত আমাদের এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মূল লক্ষ্য। তিনিসহ আরও কমপক্ষে ২০ জন সদস্য নিয়ে  ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ সংগঠনটি সৃষ্টি হয়। আমরা শুধু রমজানের সময় ইফতারির ব্যবস্থাই করি তা নয়। প্রচণ্ড গরমে সাধারণের জন্য সুপেয় ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করা। শহরকে বিশেষ সময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ জাতীয় দিবসে আলপনা আকাসহ স্থানীয় প্রশাসন যখন যেভাবে বলে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই ছাত্র। সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় আমরা এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকি। পরপর ৩ বছর আমরা ১০ টাকায় ইফতারি দিয়ে আসছি। খুব সাড়া থাকে। সব ধরনের মানুষ আমাদের থেকে ইফতারি কেনে। এমন স্বল্পমূল্যের ইফতারি ঝিনাইদহে আর কোথাও পাওয়া যায় না। পুরো মাসে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্যাকেট ইফতারি আমাদের এখান থেকে মানুষ সংগ্রহ করবে বলে আশা রাখি।
তিনি বলেন, মানুষ যখন কোনো কিছু টাকা দিয়ে কেনে তখন তার সম্মান রক্ষা পায়। এখানে লজ্জার কিছু নেই। আত্মসম্মানের সঙ্গেই তারা তাদের ইফতারি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনন্দে কিনে নিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জোহান ড্রিম ভ্যালির স্বত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমরা সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ যারা ইফতারের সময় বাধ্যতামূলক রাস্তায় কর্মব্যস্ত থাকে। তাদের জন্য সামান্য ব্যবস্থা।