আজ সোমবার বিকেল তিনটায় বাউফল জামায়াত কার্যালয়ে তিনি জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের হাতে হাত রেখে জামায়াতের সঙ্গে আমৃত্যু কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাহেদ মাহমুদ বলেন, “আমি একজন মুসলমান এবং একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। জনগণের জন্য কাজ করার দায়বদ্ধতা আমাদের রয়েছে। যে সংগঠনই করি না কেন, সেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও সম্মান প্রত্যাশা করাটা অন্যায় নয়।”
ক্রন্দনরত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমার বাবা ছোটবেলা থেকেই আমাকে রাজপথে নামিয়ে স্লোগান শিখিয়েছেন। তার সততা আমি কাছ থেকে দেখেছি। আমি কখনো কারো সঙ্গে আপস করিনি। তারপরও বারবার অপমান, গ্লানি ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের অপমান সহ্য করতে হয়, তাহলে সেই রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আমি শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার আদর্শকে ভালোবাসি। কিন্তু আজ সেই আদর্শ যেন কোমায় চলে গেছে।”
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাউফলের সন্তান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সাহেবের ধৈর্য ও মানবিকতা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমার বাবা-মা অসুস্থ থাকাকালে তিনি নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন—যা আমি নিজের দলের কাছ থেকে আশা করেছিলাম।”
জাহেদ মাহমুদ বলেন, “আজ থেকে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদকে কবুল করে নিলাম। তার প্রতিটি ভালো কাজে জান ও মাল দিয়ে পাশে থাকবো। আমার কোনো ভুল হলে আপনারা আমাকে ক্ষমা করে ভাইয়ের মতো পথ দেখাবেন।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “আধুনিক, স্মার্ট ও মডেল বাউফল গড়তে আমরা জাহেদ ভাইয়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো। ইসলামের বিজয়ের লক্ষ্যে তিনি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন—আমিন।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসাহাক, সেক্রেটারি অধ্যাপক খালেদুর রহমান, উপজেলা শিবির সভাপতি লিমন হোসাইন, সদ্য জামায়াতে যোগ দেওয়া বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন মুন্সীসহ জামায়াত ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।