জাকসু নির্বাচন: হঠাৎ বৃষ্টিতে কোথাও বন্ধ, কোথাও চার্জার লাইটে ভোট গ্রহণ

জাগো জনতা অনলাইন।। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ, আবার কোনোটিতে চার্জার লাইটের মাধ্যমে ভোট নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ভোট গ্রহণ শুরুর প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে ক্যাম্পাসে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে অনেক আবাসিক হলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে কেনো কোনো কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কিছু সময়ের জন্য বাঁধাগ্রস্ত হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ নম্বর ছাত্র হল, মওলানা ভাসানী হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, ফজিলতুন্নেছা হল, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, প্রীতিলতা হল, বীর প্রতীক তারামন বিবি হলসহ কয়েকটি আবাসিক হলে বিদ্যুৎ নেই।
শহীদ রফিক-জব্বার হল কেন্দ্রের প্রধান ও হল প্রভোস্ট আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বুথগুলো অন্ধকার হয়ে পড়ে। যার ফলে প্রায় ১০ মিনিটের মতো ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। তবে বিদ্যুৎ আসায় আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।’
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলসহ কয়েকটি আবাসিক হলে জেনারেটর চালু করে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ১০ নম্বর ছাত্র হলে চার্জার লাইট দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন (টিক চিহ্ন দিবেন)। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।
জাকসুর মোট প্রার্থীর ২৫ শতাংশ ছাত্রী, বাকি ৭৫ শতাংশই ছাত্র। ভিপি পদে কোনো নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হননি। জিএস পদে ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মেয়ে দুইজন। আর চারটি পদে কোনো মেয়ে প্রার্থীই নেই। সবগুলো হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থীর ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্রী। আর মেয়েদের হলগুলোর পাঁচটিতে ১৫ পদে প্রার্থীই নেই।
নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশ নেবে। ছাত্রদল থেকে ভিপি ও জিএস পদে লড়ছেন যথাক্রমে শেখ সাদী হাসান ও তানজিলা হোসেন বৈশাখী। বাগাছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ লড়বে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের নেতৃত্বে।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে আব্দুর রশিদ জিতু ভিপি এবং মো. শাকিল আলীর জিএস পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে লড়বে। তাদের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস মাজহারুল ইসলাম।
‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে জিএস পদে শরণ এহসান, এজিএস (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত এবং এজিএস (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি লড়বেন। এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আদালত।
ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্যদে’ জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন, এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লড়াই করছেন।