চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর উদ্বোধন

জাগো জনতা অনলাইন।। বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে উভয় দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যখনই কোনো সংকট কিংবা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়, তখন চীন বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো পাশে দাঁড়িয়েছে।”
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর হোটেল সারিনায় ‘নি হাও চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার।
নূরজাহান বেগম বলেন, “সম্প্রতি মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার পর চীন তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসক দল পাঠিয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছে। এছাড়া গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় চীন এগিয়ে আসে। জুলাই আন্দোলনে আহতদের জন্য চীন রোবোটিক হাত-পা সরবরাহ করেছে, যা তাদের জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে।”
তিনি আরো বলেন,“রংপুর অঞ্চলে চীন সরকারের অনুদানে এক হাজার শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ, সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জুলাই যোদ্ধাদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনেও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “সরকার সংস্কার বাস্তবায়ন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো সহজ করার মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”
চীনা মেডিকেল ইকুইপমেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, “চীন আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ও মানসম্মত হাসপাতাল সেবায় বিশ্বজুড়ে পরিচিত। বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে একটি টেকসই ও আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
প্রদর্শনীতে চীনের ১০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল অংশ নেয়। তারা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সহজলভ্য করতে অন-সাইট ও অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, ভিসা ইনভাইটেশন ও প্রসেসিং, অনুবাদক সেবা এবং বিমানবন্দর থেকে পিকআপ সুবিধাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের ঘোষণা দেয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, রোগী ও সাধারণ দর্শনার্থীরা।