ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৫ - ৯:২১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

চাকরিচ্যুত ইসলামি ব্যাংক কর্মকর্তাদের মহাসড়ক অবরোধ, দাবি মেনে না নিলে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা

  • আপডেট: Tuesday, September 30, 2025 - 7:51 pm

 

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
ইসলামী ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ২০০ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও ৪ হাজার ৯৭১ জনকে ওএসডি করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আনোয়ারার ক্রসিং এলাকায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ব্যস্ততম সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা অবরোধ তুলে নেন।

তবে তাঁরা জানিয়েছেন দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যে যদি তাঁদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী রবিবার থেকে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে কর্মকর্তাদের এই অস্থিরতা শুরু হয় একটি বিশেষ দক্ষতা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষার আয়োজন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যাংকের কর্মকর্তারা অভিযোগ তোলেন, চট্টগ্রামের সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতির চেষ্টার অংশ হিসেবে এই প্রহসনমূলক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেজন্য তারা এই পরীক্ষা বয়কট করে মাঠে নামেন।

পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া এবং আন্দোলনে নামায় চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সোমবার ২০০ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও ৪ হাজার ৯৭১ জনকে ওএসডি করা হয়। এর প্রতিবাদে ৬ দাবিতে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।

ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার ১২টায় আনোয়ারার ক্রসিং এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শতাধিক কর্মকর্তা। তাদের অবরোধের কারণে ব্যস্ততম সড়কটিতে ব্যাপক যানজট লেগে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে দুপুরের দিকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা যাদেরকে বিনা কারণে টার্মিনেট করা হয়েছে তাদেরকে স্বপদে বহাল করা, যাদের দূরবর্তী শাখায় বদলী করা হয়েছে তাদের কাছাকাছি নিয়ে আসা, গত সরকারের আমলে যারা অবৈধ প্রমোশন পেয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করা, বৈষম্যহীন রাজনৈতিমুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা, শর্ত আরোপ করে সকল প্রকার এসেসমেন্ট টেস্ট বন্ধ করা, বাংলাদেশের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় চট্টগ্রামের অফিসারদের ওপর যে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তা উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল অফিসারকে কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।

এখন দুর্গাপূজা চলায় পূজার প্রতি সম্মান রেখে তারা বড় কর্মসূচিতে যাচ্ছেন না। পূজার বন্ধের মধ্যে যদি তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আগামী রবিবার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিতে যাবেন।