চসিকের ফুড ল্যাব হতে পারে রাজস্ব আয়ের বড় উৎস : মেয়র শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চসিকের ফুড ল্যাব সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এটি কর্পোরেশনের অন্যতম বড় রাজস্ব আয়ের উৎসে পরিণত হতে পারে। এ ল্যাব থেকে মাসিক অন্তত এক কোটি টাকা আয় সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর মুরাদপুরের বিবিরহাট এলাকায় অবস্থিত ফুড ল্যাবটি পরিদর্শন শেষে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও ল্যাবের পূর্ণ সক্ষমতা এখনো কাজে লাগানো যায়নি। ফরমালিনসহ ক্ষতিকর উপাদান শনাক্তে নিয়মিত পরীক্ষা চালু রাখা হলে চট্টগ্রাম নগরবাসীর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “ল্যাবের সরঞ্জামগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। খুব শিগগিরই ল্যাবটিকে আধুনিকায়ন করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে এবং এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।”
পরিদর্শনকালে মেয়র ল্যাবের কার্যক্রম, যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতা, স্যাম্পল সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও পরীক্ষার প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি ল্যাব কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরিচালনাগত বিষয়, বিদ্যুৎ বিল, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ও সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জিল্লুর রহমান, প্রকৌশলী সাফকাত আমিন ও শাহিন এসকান্দর মির্জা।