চন্দ্রঘোনা কেপিএম জামে মসজিদ: পিলারবিহীন দৃষ্টিনন্দন মসজিদ
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি।
সাধারণত পিলারের ওপর মসজিদ নির্মিত হয়ে থাকে। কিন্তু রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) এলাকায় আজ থেকে ৫৮ বছর আগে স্থাপিত হয়েছে দেশের একমাত্র পিলারবিহীন মসজিদ। যেটি কেপিএম বড় মসজিদ বা কেপিএম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামে পরিচিত। এ মসজিদের চার দেয়াল ছাড়া মাঝখানে আর কোনো স্তম্ভ নেই। মসজিদের ভেতরে ২৩টি কাতার রয়েছে। প্রতিটি কাতারে শতাধিক মুসল্লি অনায়াসে দাঁড়াতে পারেন। মসজিদের অন্যতম আকর্ষণ হলো—মুসল্লিরা যে যেখানেই নামাজের জন্য দাঁড়ান না কেন, তাদের প্রত্যেকেই খতিব কিংবা ইমাম সাহেবকে বাধাহীনভাবে দেখতে পারেন। ইমামের বয়ান ও ওয়াজ শুনতে পারেন।
অনেক বড় বড় মসজিদে মাঝখানের স্তম্ভের কারণে মুসল্লিদের অনেকেই ইমাম সাহেবকে সরাসরি দেখতে পারেন না। কিন্তু কেপিএম এলাকার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত এই মসজিদে সে সমস্যা নেই। ইমাম সাহেবও উপস্থিত মুসল্লিদের মাঝে যাকে ইচ্ছা তাকে অনায়াসে দেখতে পারেন বলে জানান কেপিএম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ। তিনি আরও বলেন, এই মসজিদটি আমাদের মিলের গৌরব এবং ঐতিহ্যের অংশ।
কথা হয় মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব এটিএম আব্দুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিশাল এই মসজিদের ছাদে রয়েছে ৮৪টি সিলিং ফ্যান, ৩৮টি টিউবলাইট। দৃষ্টিনন্দন ঝাড়বাতি রয়েছে ৩৮টি। এতগুলো ফ্যান ও বাতি বুকে ধারণ করে মসজিদের ছাদটি কীভাবে যুগ যুগ ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা এক বিস্ময়। শীতাতপ ব্যবস্থা না থাকলেও মোজাইক করা মসজিদটির মেঝেতে বসলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কারণ, মসজিদের সামনে ১৬টি এবং দুই পাশে ১৮টি জানালা দিয়ে প্রতিনিয়ত ফুরফুরে বাতাস মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে থাকে। আর ওপরে সিলিং ফ্যান তো আছেই। ফলে মসজিদে সব সময় শীতল পরিবেশ বিরাজ করে।











