চড়া সবজি ও মাছের বাজার

জাগো জনতা অনলাইন।। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কমেছে সবজির সরবরাহ। এতে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে সবরকমের সবজির দাম। তবে সরবরাহ থাকলেও বেশিরভাগ মাছের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। এছাড়া আকাশ ছোঁয়া দাম ইলিশের। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২ হাজারের ওপরে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে বাজার মাছের সরবরাহ কম। একসঙ্গে বাজারে ক্রেতাও কিছুটা কম। ফলে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। এক কেজির চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকায়। বেড়েছে গরিবের মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙাসের দামও। বড় আকারের পাঙাস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। ৬ কেজি ওজনের কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১০ থেকে ১১ কেজির কাতলা ৮৫০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ফলই ৪৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৪৫০ টাকা ও তেলাপিয়া ২২০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বড় মাছের বিক্রি কিছুটা কম। তাছাড়া গত দুইদিন মাছের সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। আবার সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সংখ্যাও কিছুটা কম।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছ কম থাকায় বিক্রেতারা দাম বেশি চাচ্ছেন। তবে ইলিশের দাম বাড়তে বাড়তে এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে বলে মনে করছেন তারা।
মেরাদিয়া মাছ বাজারের হারিস নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারে মাছ অনেক কম। তবে কিছু ইলিশ মাছ দেখলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি। তেলাপিয়াও পেলাম না। ভাবলাম কিছু দেশি ছোট মাছ কিনবো, তাও নেই। এখন কী মাছ কিনবো জানি না, বাজার আরও ঘুরে দেখি।
মাছ বিক্রেতা হারুন জানান, সরবরাহ না থাকায় কয়েকদিন যাবত মাছের দাম একটু চড়া। ফলে আড়তে মাছ কম থাকায় দামও বেশি। তাই অল্প মাছ এনেছি, কিছু বিক্রি হয়েছে। আজ ছুটি থাকায় বিকেলের পরও ক্রেতারা আসবেন।
এদিকে আলু ও পেঁপে ছাড়া বাকি সব সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকার বেশি দরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। প্রতি কেজি বেগুন, ঝিঙা, কচুর লতি, করলা কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা বেড়ে ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। পাশাপাশি সোনালী মুরগির দামও বেড়েছে কেজিতে ২০টাকা পর্যন্ত। তবে, ১৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে মিলছে ব্রয়লার মুরগি।
অন্যদিকে আগের থেকে বেড়ে যাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল,আটাসহ অন্যান্য সব নিত্যপন্য।