ঢাকা | ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫ - ৯:০৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

চট্টগ্রাম–১৪ আসনে ৯ জনের মনোনয়ন দাখিল, জামায়াত ও এনসিপির প্রার্থী নেই

  • আপডেট: Tuesday, December 30, 2025 - 6:37 am

 

নুরুল আলম, চন্দনাইশ প্রতিনিধি :

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৪ (আসন নং ২৯১) সংসদীয় আসনে বিএনপি সমর্থক ৪ জন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)সহ অন্যান্য ৫টি দলের মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম–১৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন ছিল সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর। ওইদিন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যেসব প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন—

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের পুত্র অধ্যাপক ওমর ফারুক (ছাতা প্রতীক),

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আহমদ (ধানের শীষ প্রতীক),

ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মৌলানা সোলায়মান ফারুকী (মোমবাতি প্রতীক),

জাতীয় পার্টি থেকে বাদশা মিয়া (লাঙ্গল প্রতীক),

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আবদুল হামিদ (হাতপাখা প্রতীক)

এবং ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ থেকে হাফেজ ইলিয়াছ শাহ।

অপরদিকে বিএনপি সমর্থক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন—

চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার,

এডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী

এবং শফিকুল ইসলাম রাহী।

এদিকে এলডিপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে নির্বাচনী জোট গঠিত হওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত ও দীর্ঘদিন মাঠে সক্রিয় নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন (দাঁড়িপাল্লা প্রতীক) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন পাওয়া মো. হাসান আলী (শাপলা কলি প্রতীক) মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা নুরুল আনোয়ার বলেন,

“আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনামলে আমরা মাঠে থেকে আন্দোলন করেছি। কর্মীদের আবেগ ও চাপের কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়েছি।”

বিএনপি সমর্থক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম রাহী ও এডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী একই সুরে বলেন,

“দুর্দিনে আমরা দলের পাশে ছিলাম। ধানের শীষ প্রতীকের হকদার আমরা। কর্মীদের আবেগ ও অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারিনি। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্যাগী ও পরীক্ষিত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমরা তা স্বাগত জানাবো।”

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের নির্বাচিত নেতা।