ঢাকা | অক্টোবর ২৮, ২০২৫ - ১০:০৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ কনটেইনারের বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংস

  • আপডেট: Tuesday, October 28, 2025 - 7:01 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক।

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি কনটেইনারের বিপজ্জনক পণ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক ও অন্যান্য ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা কমিটির নেতৃত্বে এই ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস কার্যক্রমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানা পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন।

ধ্বংস করা পণ্যের মধ্যে ছিল— আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬ কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন ১ কনটেইনার, সুইট হুই পাউডার ১ কনটেইনার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডার ১ কনটেইনার। কনটেইনারগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল এবং বন্দরের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল বলে জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা কমিটির তত্ত্বাবধানে গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর এ ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিনিধিরা।

এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ১৪ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য পণ্য সফলভাবে অপসারণ ও ধ্বংস করেছিল।

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট কমাতে ইতোমধ্যে এনবিআর ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের ইনভেন্টরি সম্পন্ন করে দ্রুত নিলাম কার্যক্রম শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কনটেইনার ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে।

বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো পর্যায়ক্রমে ধ্বংসের কাজ চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছে এনবিআর।