ঢাকা | নভেম্বর ২৮, ২০২৫ - ৬:৫৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম

চট্টগ্রামে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণে অর্ধ লক্ষাধিক কর্মকর্তা প্রস্তুত

  • আপডেট: Friday, November 28, 2025 - 6:05 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ভোটগ্রহণের জন্য অর্ধ লক্ষাধিক কর্মকর্তার প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার পরই শুরু হবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমদ বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমা দেওয়া তালিকা যাচাই-বাছাই করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।’

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ডিসেম্বরের শুরুতেই তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। সেই লক্ষ্য নিয়ে দ্রুতগতিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১,৯৬৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১২,৩৯৮টি।

এক কর্মকর্তা জানান, প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি ভোটকক্ষে থাকেন একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং দুইজন পোলিং অফিসার। সে অনুযায়ী এবার চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করবেন ৩৯ হাজার ১৫৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁরাও প্রশিক্ষণ পাবেন।

গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্র ছিল ২,০২২টি। তখন ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৩ লাখের বেশি। এবার হালনাগাদের পর আরও প্রায় তিন লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। তবে পূর্ববর্তী নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটকেন্দ্র কমেছে ৫৪টি।

নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বড় কর্মযজ্ঞ। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা সাধারণত এই দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই তালিকা প্রণয়ন শুরু হয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তালিকা যাচাই করে প্যানেল প্রস্তুত করা হয়। তফসিল ঘোষণার আগেই এসব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়।

গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে, যার প্রতিটিকে ঘিরেই বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে—কোনটি একতরফা, কোনটি নিশিরাতে—এমন অভিযোগ উঠেছিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচিতি পেয়েছে ‘আমি আর ডামি’ ভোট হিসেবে। এবার সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও একটি ‘মডেল নির্বাচন’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফলে ভোটারদের মধ্যেও ভোটদান নিয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।