রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন প্রদীপ নিভে যায় তার। এর আগে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার ছোট ছেলে মাসুমের।
নিহত জুলেখা খাতুন উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের ফকিরাবন এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, জুলেখা আহত অবস্থায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩ এপ্রিল সকালে শুকনো পাতার একটি বস্তা সরানো নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে আর্থিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে বড় ভাই মো. ইয়াছিন ধারালো দা দিয়ে ছোট ভাই মাসুম ও মা জুলেখাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মুমূর্ষু মা-ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে চট্টগ্রাম নগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে শনিবার মারা যান ছোট ছেলে মাসুম।
ছোট ছেলের মৃত্যুশোক বুকে চেপে তখনও লড়ছিলেন মা জুলেখা। কিন্তু সেই লড়াই বেশি স্থায়ী হলো না। একদিন পরই রোববার দুপুরে তিনিও পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
ভূজপুর থানার অফিসার্স ইনচার্য (ওসি) মো. মাহবুবুল হক জানান, ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন মা-ও মারা গেছেন বলে শুনেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই ঘাতক ইয়াছিন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।