ঢাকা | নভেম্বর ৬, ২০২৫ - ৮:৪০ অপরাহ্ন

শিরোনাম

চট্টগ্রামের ২১ খাল পুনরুদ্ধারে ডিপিপি জমা দিতে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

  • আপডেট: Thursday, November 6, 2025 - 5:59 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান সিডিএর মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খাল পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য দ্রুত উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়ন করে জমা দিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মেয়রের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ নির্দেশনা দেন ড. ইউনূস।

সাক্ষাৎ শেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে সিডিএ ৩৬টি খালে কাজ করছে। তবে মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা আরও ২১টি খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা জরুরি। এ জন্য নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি প্রয়োজন। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলে তিনি আমাকে দ্রুত ডিপিপি প্রণয়ন করে জমা দিতে বলেন।”

তিনি আরও বলেন, “নগরের বর্জ্য অপসারণে নতুন ইক্যুপমেন্ট সংগ্রহের একটি প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়েও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।”

চসিক জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়রের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘ দুই দশক ধরে চট্টগ্রামের নাগরিকরা জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ভুগছে। মেয়র ডা. শাহাদাতের নেতৃত্বে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পূর্ণ সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মেয়র প্রধান উপদেষ্টাকে জানান—২০২৪ সালে ভারী বৃষ্টিতে নগরের ৮৫টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল, যা ২০২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩টিতে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকার সংখ্যা ৫২টি কমে গেছে।

মেয়র বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে একত্রে কাজের নির্দেশ দিয়েছি। সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন মিলে যৌথভাবে কাজ করায় জলাবদ্ধতা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে নগরের বাকি ২১টি খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা গেলে স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে।”

ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিডিএ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতায় চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের পথে। সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রামকে একটি জলাবদ্ধতামুক্ত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করা সম্ভব।”