মো. নিরব হোসেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মরহুম মতিউর রহমান মিয়ার সন্তান।
মো. নিরব হোসেন চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তার বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন বর্তমানে দৈনিক জনকণ্ঠের এজিএম (পরিবহন শাখা) হিসেবে কর্মরত আছেন।
মো. নিরব হোসেন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার বড় ছেলে তাহসিন হোসেন নাহিয়ান (১৫) মোহাম্মদপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ফ্যাসিস্ট হাসিনা হটাও আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়। সম্প্রতি সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠিয়ে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
মো.নিরব হোসেনের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজে শরিক হতে নিরব হোসেন তার এক বন্ধুসহ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। একপর্যায়ে মানুষের ভিড়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে সহকর্মীরা জানিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ঢাকার ১৭৪, বড় মগবাজার ডাক্তার গলিতে পরিবারসহ বসবাস করতেন।
তার আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।