খাগড়াছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়োগ বাঙ্গালীদের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়োগ বাঙ্গালীদের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। পার্বত্য চট্রগ্রামে কোটা ভিক্তিক সুবিধা দেওয়ার ফলে বাঙ্গালিরাই সবসময়ই বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করেণ বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও কোটা সুবিধা দিয়ে অযোগ্যদের সরকারি চাকরি দিয়ে প্রশাসনে মেধাহীন করা হচ্ছে। যার ফলে মেধা থাকার পরও পার্বত্য চট্রগ্রামে পিছিয়ে পরেন বাঙালিরা।
সাম্প্রতিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ও অধীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সমূহের ‘অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’, ‘সার্টিফিকেট সহকারী’, ‘ সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা’, ‘ উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা’, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা পূর্বতন-সাঁটমুদ্রাক্ষরিক’ এর শূন্যপদে নিয়োগের লক্ষ্যে গত ০৮/০৯/২০২৩ তারিখে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় / খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় / নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষা, ০৯/০৯/২০২৩ তারিখে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় অনুষ্ঠিত ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ১১/০৯/২০২৩ তারিখে বিভাগীয় কমিশনারে কার্যালয়, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত চূড়ান্ত ফলাফল নিম্নরূপ অংশ হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।
যাতে দেখা যায়, ৫টি পদে মোট ২২জনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ২২ জনের মধ্যে মাত্র ৫জন বাঙ্গালী মুসলিম। বাকি ১৭ জন উপজাতি হইতে।
এবিষয়ে জানতে চাইলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি’র) চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান মুঠোফোনে জানান, এই বৈষম্য মেনে নেওয়ার মতো নয়। একই দেশে দুইরকম আইনে চলতে পারেনা। এই কোটা প্রথার কারণে অনেক মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে এবং কোটা বাতিল করতে হবে। কোটা বাতিল বিষয় নিয়েও আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বৃহৎ আন্দোলনে যাবে। এভাবে যদি প্রশাসনে অযোগ্যরা স্থান পায় এবং উপজাতিদের আধিপত্য থাকে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয়করণের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের স্বপ্নের জুম্মল্যান্ড বাস্তবায়ন হতে আর বেশি সময় লাগবে না।
তিনি আরও বলেন, এই বৈষম্য পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হরহামেশাই হচ্ছে৷ প্রতিবাদ করার কেউ নেই৷
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের নিকট দাবি করছে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেনো সবকিছু সমতার ভিত্তিতে হয়। এভাবে একটি গোষ্ঠীকে শিক্ষা, চাকরি এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মাথায় তুললে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ জন্মাবে। যার পরবর্তীতে এর পরিণাম খারাপ হবে।