ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৫ - ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

খাগড়াছড়িতে পূর্ণদিবস সড়ক অবরোধে ভোগান্তিতে পর্যটকরা

  • আপডেট: Saturday, September 27, 2025 - 5:50 am

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি। 
পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচারের দাবিতে জুম্মা ছাত্র জনতার ডাকে খাগড়াছড়িতে মহাসমাবেশের পর শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পূর্ণদিবস সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে। ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এ অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী কোনো দূরপাল্লার যানবাহন ছাড়েনি। এতে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি পর্যটকরাও চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

পর্যটক মো. আসিফ ইকবাল জানান, “পূজার ছুটিতে সাজেক যাওয়ার জন্য পরিবার নিয়ে খাগড়াছড়ি এসেছি। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারলাম সড়ক অবরোধ। রাস্তায় বসে আছি। যদি প্রশাসন আমাদের সাজেক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে, তবে ভালো হবে।”

অন্য পর্যটক সাদিয়া বলেন, “আমরা অনেক আগে থেকে সাজেক যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু খাগড়াছড়িতে এসে অবরোধের কারণে আটকে গেছি। পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ভোগান্তি না হয়, প্রশাসনের কাছে সে দাবি জানাই।”

অবরোধ সমর্থনে ভোরে শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার, জিরোমাইল ও স্বনির্ভর এলাকায় অবরোধকারীরা টায়ার ও গাছের গুড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ সড়ক থেকে তা অপসারণ করে। তবে পৌর শহরের ভেতরে ইজি বাইক, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সীমিত চলাচল অব্যাহত ছিল।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃদা বলেন, “কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজ পূর্ণদিবস সড়ক অবরোধ চলছে। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, যাতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে এক কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে জুম্মা ছাত্র জনতা এ কর্মসূচির ডাক দেয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। কিশোরীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি এক বিবৃতিতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।