খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা: শত শত ঘরবাড়ি ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি

আরিফুল ইসলাম মহিন, খাগড়াছড়ি ।। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি পৌরসভার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে পানছড়ি ও পার্শ্ববর্তী উজান এলাকায় টানা ভারী বর্ষণের কারণে চেঙ্গি নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে পৌরসভার নিচের বাজার, মেহেদীবাগ, গঞ্জপাড়া ও আশপাশের শত শত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কয়েকশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং আসবাবপত্রসহ গৃহস্থালির জিনিসপত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, “সকালে দোকানে এসে দেখি নদীর পানি দোকানের কাছে চলে এসেছে। মালপত্র সরানোর আগেই দোকানে পানি ঢুকে যায়।” মেহেদীবাগের বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, “হঠাৎ পানি ওঠায় আসবাবপত্রের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পুরো এলাকা এখন পানিতে ডুবে আছে।”
এদিকে পানছড়ির কালানাল এলাকার মৎস্যচাষি আনোয়ার হোসেন মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। প্রায় ৮ একর জমির ওপর ১১টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন তিনি। এর মধ্যে ৬টি পুকুরে প্রায় ১০ টন বিভিন্ন প্রজাতির কার্পজাতীয় মাছ এবং ৪টি পুকুরে ৩৫ হাজার পাঙ্গাস ও ১ লাখ মনোসেক্স তেলাপিয়া ছিল, যা এ মাসের শেষের দিকে বাজারজাত করার কথা ছিল। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে তার ১১টির মধ্যে ১০টি পুকুরের বাঁধ ভেঙে সব মাছ ভেসে যায়। এতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুধু আনোয়ার হোসেন নন, এ বন্যায় আরও বহু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কৃষক ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, দুর্গতদের সহায়তা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।