ক্রীড়া ও সম্প্রীতির মিলনমেলা, সেনা রিজিয়ন কাপের ফাইনাল ম্যাচ

নিজস্ব প্রতিবেদক।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোলে আজ বিকালে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচ। বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বনাম আলীকদম উপজেলা দল।
সকাল থেকেই ক্রীড়াপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে স্টেডিয়াম এলাকা। রঙিন পতাকা, দর্শকের স্লোগান ও আনন্দঘন পরিবেশে জমে উঠেছে ফুটবল উৎসব।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিব ইবনে রেজওয়ান, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ ধারার খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। খেলাধুলা শুধু বিনোদন নয়, এটি শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় ও দলগত চেতনার শিক্ষা দেয়। এ ধরনের টুর্নামেন্ট প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করার সুযোগ সৃষ্টি করে, যারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে গৌরবান্বিত করতে পারবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব থানজামা লুসাই, বান্দরবান জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এস এম মাহমুদুল হাসান, এবং বান্দরবান জোনের নবাগত জোন কমান্ডার লে. কর্নেল হুমায়ূন রশিদ। এছাড়াও সেনাবাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ক্রীড়া সংগঠক, সাংবাদিক এবং জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে খেলাটি উপভোগ করেন।
ফাইনাল ম্যাচটি কেবল একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়; এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি অনুপ্রাণিত করা, পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা এবং এ অঞ্চলের ক্রীড়া ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
আয়োজক কমিটির একজন মুখপাত্র জানান, বান্দরবানকে ক্রীড়া কেন্দ্রিক জেলায় রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। সেনা রিজিয়ন কাপ শুধু ফুটবল প্রতিযোগিতা নয়, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতীক।
স্টেডিয়ামে উপস্থিত এক দর্শক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এমন উৎসবমুখর পরিবেশে খেলা দেখা সত্যিই আনন্দের। সেনাবাহিনীর উদ্যোগে তরুণরা খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হবে। আমরা চাই প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন হোক।
আরেক তরুণ দর্শক বলেন, আজকের ম্যাচ আমাদের জন্য শুধু বিনোদন নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। খেলাধুলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে সম্প্রীতি আরও মজবুত হবে।