কেইপিজেডে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ: স্থানীয়রা বঞ্চিত, স্বজনপ্রীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা ।। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (কেইপিজেড) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত চাকরির আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ চাকরি পাচ্ছেন বাইরের জেলা বা থানা থেকে আসা প্রার্থীরা কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজনরা। এতে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
যদিও কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, স্থানীয়দের সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীরা বলছেন, নিয়োগ পেতে হলে প্রভাবশালী মহলের সুপারিশ বা মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আনোয়ারা উপজেলা শাখার সভাপতি নাছির উদ্দিন শাহ বলেন, “প্রতিদিন স্থানীয়রা কেইপিজেডের গেইটে গেইটে চাকরির আশায় ধর্ণা দিচ্ছে। কিন্তু সুযোগ মিলছে না। অথচ প্রতিদিনই বাইরের লোক নিয়োগ পাচ্ছে। এখানে টাকার লেনদেন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রেফারেন্সই আসল যোগ্যতা।”
একই সুরে কথা বলেন আনোয়ারা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল নূর চৌধুরী। তিনি বলেন, “আগে অন্তত শ্রমিক পর্যায়ে স্থানীয়দের কিছুটা অগ্রাধিকার দেওয়া হতো। কিন্তু এখন স্থানীয়রা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক।”
তবে কেইপিজেডের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “প্রতিটি নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার রয়েছে। বাইরে থেকে আসা কর্মীরা সংখ্যায় সীমিত।”
কিন্তু মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা ভিন্ন চিত্রই ফুটিয়ে তুলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়োগের সময় বক্সে সিভি জমা নিলেও শেষ পর্যন্ত চাকরি পাচ্ছেন বাইরের লোকজন।
সচেতন মহল মনে করেন, স্থানীয়দের বঞ্চিত করে ক্রমাগত স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য চলতে থাকলে আনোয়ারায় ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেবে। এ ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ না করলে তা বৃহৎ আন্দোলনের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।