কুমিল্লায় হিজাব ও বোরকা নিয়ে কটুক্তি করায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
আসমা আক্তার বিথী।।
নওয়াব ফয়েজুন্নেছা সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী আঞ্জুমা আক্তার আঁখি কে হিজাব ও বোরকা পড়া নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ উঠেছে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষা মেজর মিতা সাদিনাজ এর বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নওয়াব ফয়েজুন্নেছা সরকারি কলেজের ডিগ্রি ১ বর্ষের শিক্ষার্থী আঁখি বলেন, গত একুশে ফেব্রুয়ারি আমি এবং আমার ছোট বোনকে নিয়ে হিজাব ও বোরকা পড়ে কলেজে মেলা দেখতে ও শহীদ মিনারে আসি। এসময় ম্যাম আমাকে আর আমার বোনকে দেখে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে যা আমাকে এবং আমার বোনকে অপমানিত করা হয় বলে আমি মনে করি। শুধু তাই নয় ইসলামি আইন অনুযায়ী নারীদের পর্দা করে চলতে বলা হয়েছে। তিনি সেই ইসলামি আইনকেও অপমানিত করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
সে আরও বলে ম্যাম এর সাথে থাকা কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে একজন শিক্ষক প্রতিবাদ করে বলেন, ইসলামী আইনে নারীদের পর্দা করে চলতে হয়। তার পরিবার ছোটবেলা থেকে তাদের সেই নৈতিক শিক্ষা দিয়েছে। তখন ম্যাম বলে উঠেন এটা কোন ধরনের নৈতিকতা। হিজাব ও বোরকার মধ্যে আরও বেশি দুষ্টুমি ও ভণ্ডামি লুকিয়ে থাকে। তাছাড়া তিনি আরও বেশকিছু কটুক্তিমুলক কথা বলেন।তাতে করে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি।
এসময় তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বেও ম্যাম আমার বোরকা ও হিজার পড়া নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেন। তখন আমি কিছু বলি নাই কারণ আমি ভেবেছিলাম সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও ম্যাম আমার বোরকা ও হিজাব পড়া নিয়ে কটুক্তি করার আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি। শুধু তাই নয় আমি মনে করি ইসলামী অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এসময় নওয়াব ফয়েজুন্নেছা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি নামজুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোন নৈতিক আন্দোলনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সবসময় তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে একজন শিক্ষক শিক্ষিকা আমাদের পিতা মাতা সমতুল্য। তাদেরকে শ্রদ্ধা সম্মান করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে যে বিষয়টি ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখবে। এসময় তিনি কলেজের অধ্যক্ষা মেজর মিতা সাদিনাজ এর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান।