ইউসুফ আলী খান।। ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নির্মানাধীন একটি পিলারের পিয়ারক্যাপের সাটার ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ওই গাড়ির ওপরেই সাটারের একাংশ এবং বাকি অংশ ফুটওভার ব্রীজের ওপর পড়ে। এতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নবীনগর- চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বলিভদ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকট শব্দ করে ওপর থেকে সবকিছু ভেঙে পড়ে। পরে আশেপাশের মানুষ ছুটে যায়। পাইপগুলো সড়কের মাঝ বরাবর পড়েছে। এতে নবীনগরমুখী লেনে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের ওপর একাংশ পড়ে। বাকি অংশ ফুটওভার ব্রিজের ওপর পড়ে। এতে লরি বা কাভার্ড ভ্যানটির (চট্ট মেট্রো- ঢ ৮১-২০৭১) ক্ষতি ও ফুটওভার ব্রীজের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এতে গাড়ির ড্রাইভার আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি কাভার ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ফুটপাতে ধাক্কা লাগে। পরে বিমের পাইপে ধাক্কা লাগার পরে সাটারের একটা পার্ট খুলে কাভার্ড ভ্যানের ওপরে পরে। আমাদের ক্রেন আছে ওখানে। সব রেসকিউ করা হচ্ছে। এতে এই বিমের কিংবা রাস্তার অথবা কোন মানুষেরও কোন ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইনস্পেক্টর আব্দুস সালাম বলেন, গাড়ি ধাক্কায় এধরণের দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন কোন আলামত আমরা পাইনি। পিলারটি আশেপাশে টিন দিয়ে ঘেরা আছে। সেখানে ধাক্কা লাগার কোন সুযোগই নেই। যে পিলারটিতে ধাক্কা লেগেছে সে পিলারটি ব্যারিকেডের ভিতর। গাড়ীর ধাক্কা লাগলে তো আগে ব্যারিকেডে লাগত। অথচ ব্যারিকেডটা অক্ষত আছে। এদিকে আশেপাশের জনগণ বলেছেন লরিটা (কাভার্ড ভ্যান) চলন্ত অবস্থায় ছিল। তবে গাড়িটির ড্রাইভার কিংবা হেলপার কাউকে আমরা পাইনি।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, আমরা যতটুকু জানি উপর থেকে পিলারের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। কোন গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে কিনা এখনই বলা সম্ভব না। দুর্ঘটনার পরপরই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমাদের একটি টিম সেখানে আছে। তাদের সাথে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।