কলকাতা-আগরতলার দুই মিশনপ্রধানকে ডেকে পাঠাল ঢাকা
কুটনৈতিক প্রতিবেদক : ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার উপ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দুই মিশনের প্রধানকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় ডেকে পাঠিয়েছে সরকার।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ‘আলোচনার’ (কনসালটেশন) জন্য তাদের জরুরি ভিত্তিতে সদরদপ্তরে ডেকে পাঠানোর কথা বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান এরইমধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনার বিষয়ে ব্রিফও করেছেন তিনি।
অপরদিকে ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফুর রহমানও দেশের পথে থাকার তথ্য দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
সনাতনী হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ভারতে, বিশেষ করে বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। গত সোমবার এমন একটি বিক্ষোভ থেকে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা চালানো হয়।
হিন্দু সংঘার্ষ সমিতি নামে ডানপন্থি সংগঠনের ব্যানারে ওই হামলায় বাংলাদেশ মিশনে ভাংচুর ও পতাকা নামিয়ে সেটা নিয়ে টানাহেঁচড়ার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনাকে ‘গভীরভাবে দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করে বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, হামলা ছিল ‘পূর্বপরিকল্পিত’ এবং ঘটনার সময় পুলিশ ‘সক্রিয় ছিল না’।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলারেএ ঘটনায় বাংলাদেশেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদপত্র তুলে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের সামনের বিক্ষোভে জাতীয় পতাকা পোড়ানো এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো ঘটনাকে ‘সিরিয়াসলি’ নেওয়ার বার্তা হিসেবে কূটনীতিকদের ডেকে পাঠানো হয়ে থাকে, যাতে মুখোমুখি আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।