ঢাকা | নভেম্বর ৩, ২০২৫ - ১:৩৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের সেবায় বঞ্চিত কুতুবদিয়ার মুমূর্ষু রোগীরা

  • আপডেট: Sunday, November 2, 2025 - 6:22 pm

 

আব্বাস সিদ্দিকী, (কুতুবদিয়া) কক্সবাজার প্রতিনিধি।

কুতুবদিয়া দ্বীপের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা আরটিএমআই একটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স দেয়। কিন্তু ওই ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির জ্বালানি ও জনশক্তির সংকটের কারণে অ-ব্যবহারে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের দাবি, জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় দ্বীপবাসীর জন্য এই ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করেন তারা। এদিকে, দ্বীপবাসীর সেবাবঞ্চিত একমাত্র ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি বড়ঘোপ জেটিঘাটের উত্তর পাশে কাঁদামাটিতে পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির এই বেহাল দশা চোখে পড়ে।

সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। তাদের জন্য একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে সাগরপাড়ি দিয়ে যেতে হয় মুমূর্ষু রোগীদের। এই দুর্দশা দূর করতে দুই বছর আগে একটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স দেয় আরটিএমআই। কিন্তু কয়েক দিন ব্যবহার করার পর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নষ্ট হয়। পরে সংস্কার করেও মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এটি ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে বড়ঘোপ জেটিঘাটেই কাঁদামাটিতে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের দাবি, এ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি কখনও জনসাধারণের সেবায় আসেনি। তেলের বরাদ্দ এবং জনবল না থাকায় ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের এমন বেহাল পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সাংবাদিক রাইতুল ইসলাম রাহাত বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টির মধ্যে নৌকায় পারাপারে অনেক সময় সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি চালু হলে সঠিক সময়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা মুমূর্ষু রোগীরা পাবেন বলে আমি মনে করি।’

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেজাউল হাসান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের সরকারি বরাদ্দ এবং জনবল না থাকায় ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়েছে। এ কারণেই ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাচ্ছে না দ্বীপবাসী। তবে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করলে এটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।’