ঐতিহ্যবাহী তিনটিলা বনবিহারে ২৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত
মো. গোলামুর রহমান, লংগদু (রাঙামাটি)।
পূজনীয় বনভান্তের স্মৃতিবিজড়িত পূণ্যস্থান রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তিনটিলা বনবিহারে ২৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) উপজেলার সদরের তিনটিলা বনবিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, কঠিন চীবর দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান, আকাশ প্রদীপ উৎসর্গ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিহারে আগত হাজারো বৌদ্ধধর্মাবলম্বী সাধু সাধু ধ্বনিতে ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাজবন বনবিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ভান্তেকে বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠ দান কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়।
বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্বৃতি দিয়ে পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে ধর্মদেশনা দেন বেনুবন অরণ্য কুঠির অধ্যক্ষ পন্থক মহাস্থবির, রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভান্তে পূণ্যজ্যোতি মহাস্থবিরসহ অন্যান্য ভিক্ষু সংঘ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চীবর দান উদযাপন কমিটির সভাপতি রকি চাকমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লংগদু জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মীর মোর্শেদ এসপিপি, পিএসসি; লংগদু জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রিফাত উদ্দিন লিওন; রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মোর্শেদ; লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ; লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা (বলি); লংগদু তিনটিলা বনবিহারের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনা করেন বর্ষা চাকমা। সন্ধ্যায় ফানুস বাতি উত্তোলনের মাধ্যমে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে বলে বিহার কর্তৃপক্ষ জানান।











