এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা: বাসচালক গ্রেপ্তার

জাগোজনতা অনলাইন : ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনায় বাসটির চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার।
চালক নুরুদ্দিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ‘নিয়ন্ত্রণ হারানোর’ কথা বলেছেন জানিয়ে তাপস কর্মকার বলেন, “সে বলেছে গাড়িটি তখন থামাতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্রেক কাজ করছিল না। দুর্ঘটনার পর ধাক্কা খেয়ে গাড়ির ইঞ্জিনটি বন্ধ হয়ে থেমে গিয়েছিল।
“পরে লোকজন জড়ো হলে অবস্থা বেগতিক দেখে সে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে।”
চালক নুরুদ্দিনের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও সেটি ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “২০২২ সালে লাইসেন্সটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তারপর সেটির আর রিনিউ করেননি তিনি।”
নুরুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলায় এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় মাওয়াগামী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে প্রচণ্ড গতিতে আসা বেপারী পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় প্রাইভেটকারটি।
এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত হয় আরও একটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল।
দুর্ঘটনায় রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা আমেনা হক (৪৫), তার দুই মেয়ে ইমি (২৭) ও রিয়া (১২), আমেনার দুই বছর বয়সী নাতি আয়াত এবং মোটরসাইকেলের আরোহী এক শিশুর মৃত্যু হয়।
পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমা নামের আরেকজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাসটি আটক করলেও পলাতক ছিলেন ঘাতক চালক। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আটটি দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।