ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ - ৫:৫৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম

উত্তাল বাকৃবি, শিক্ষার্থীদের ৬ দফা ঘোষণা

  • আপডেট: Monday, September 1, 2025 - 8:35 am

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।। বহিরাগতদের হামলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে এবং সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

তবে সকাল থেকে ছাত্রীদের অনেককে বাড়ির পথে রওনা হতে দেখা গেলেও ছাত্ররা হল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে মিছিল শুরু করেন। বিভিন্ন হল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেটের সামনে একত্রিত হয় এবং বহিরাগতদের হামলার বিচারসহ হল ছাড়ার নির্দেশনার প্রতিবাদে স্লোগান দেয়।

এরপর সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে এবং দুপুর ২টার মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেয়।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি:
১. দুপুর ২টার মধ্যে অবৈধভাবে দেওয়া হল ভ্যাকেন্টের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
২. হলগুলোর সব ধরনের সুবিধা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং শিক্ষকদের মদদে বহিরাগত হামলার দায়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
৪. বহিরাগতদের ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি-স্থাপনা ভাঙচুর, নারী শিক্ষার্থী হেনস্তা ও হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৫. হামলায় জড়িত বহিরাগত সন্ত্রাসী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদান করতে হবে, তিনটি ভিন্ন ডিগ্রি মেনে নেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। গত রোববার (৩১ আগস্ট) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে পৃথক ডিগ্রি বহাল রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে তালা দেয়। এতে ভিসিসহ দুই শতাধিক শিক্ষক অবরুদ্ধ হন।

পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেও সমাধান করতে ব্যর্থ হন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। পরবর্তীতে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।