ঢাকা | জুন ২৮, ২০২৫ - ৩:৪৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ইরানের খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা স্বীকার করল ইসরায়েল

  • আপডেট: Saturday, June 28, 2025 - 5:23 am

জাগোজনতা অনলাইন : ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সক্রিয়ভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। কিন্তু তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

ইরানে ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে এমন কথাই বলেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
যুদ্ধবিরতি চলার মাঝে ইসরায়েলের প্রধান তিনটি সম্প্রচারমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটজ ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ কৌশল এবং খামেনিকে মারার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।

গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। দুই দেশের যুদ্ধ চালাকালে ইসরায়েলের নিশানা ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। তবে খামেনিও ছিলেন ইসরায়েলের নিশানা।
ইসরায়েলের ‘চ্যানেল ১৩’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “তিনি (খামেনি) আমাদের নজরে পড়লে তাকে মেরে ফেলতাম। আমরা তাকে অনেক খুঁজেছি।”
কিন্তু খামেনি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয় বলে স্বীকার করেন কাটজ।

খামেনিকে হত্যা করার সুযোগ মেলেনি জানিয়ে ইসরায়েলের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কান’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, “আমাদের পরিকল্পনার কথা বুঝতে পেরেছিলেন খামেনি। সেকারণে তিনি মাটির নিচের গভীর বাঙ্কারে গা ঢাকা দেন।
“কেবল তা-ই নয়, খামেনি তার দেশের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন…এরপর তাকে নিশানা করা আর সম্ভব ছিল না।”
“তবে তাই বলে তিনি (খামেনি) সুস্থির থাকবেন এমন কথা আমি বলব না। তার নাসরাল্লাহর (হিজবুল্লাহ নেতা) মৃত্যু থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন। খামেনিও একই কাজ করছেন,” বলেন কাটজ।

নাসরাল্লাহকে গতবছর ২৭ সেপ্টেম্বরে বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। আর এবারে ইরানে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন ইরানি কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।
খামেনির জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুইজনই হুঁশিয়ার করেছিলেন। যুদ্ধের পরিণতিতে ইরানে শাসব্যবস্থা পরিবর্তন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন তারা।
গত ১৭ জুন খামেনিকে হুঁশিয়ার করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা জানি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। তবে আমরা তাকে এখন হত্যা করব না।’’
পরে অবশ্য ট্রাম্প সেই হুমকি থেকে সরে আসেন এবং জানান, ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনও ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
শেষে ইসরায়েল কাটজও জানান, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।