আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ইউসুফ আলী খান।।
ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে শ্রমিক ও পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, ঘোষবাগ ও নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, থেমে থেমে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এ ঘটনায় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। পাল্টা জবাবে আন্দোলনরত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ, র্যাব, ডিবি পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ‘র অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় সড়কের দুই পাশের দোকানপাট ও শপিংমল গুলোও বন্ধ দেখা গেছে।
অপরদিকে বিএনপি – জামাতের ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে নবীনগর- চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক এবং ঢাকা আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী গাড়ী নেই বললেই চলে। তবে খুব কমসংখ্যক লোকাল বাস চলতে দেখা গেছে। তবে সুযোগ বুঝে বাড়তি ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে মহাসড়কে নিষিদ্ধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও তিনচাকার ইজিবাইক গুলো।
এসময় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ১৯ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, একদিকে জামাত-বিএনপির ঢাকা অবরোধ ও অপরদিকে বেতন বৃদ্ধি দাবীতে শ্রমিক আন্দোলন। তাই যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিহত করার জন্য আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এর নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথে আছি। জামাত-বিএনপি’র যেকোনো নাশকতা প্রতিহত করার জন্য আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে।
শিল্প পুলিশ-১-এর পরিচালক সরোয়ার আলম বলেন, অধিকাংশ শ্রমিক নিরীহ। তারা কাজের জন্য এসেছে। অনেক জায়গায় কাজ চলছে। কিছু কিছু শ্রমিক উশৃঙ্খলতা প্রদর্শন করছে। তাদেরকে বিভিন্ন মহল থেকে ইন্দন দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে কিছু মহলের পরিচয় নিশ্চিত করেছি। উৎশৃংখল যেসকল শ্রমিক রয়েছে তাদেরকে এখান থেকে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছি। তারা যেন নাশকতা মূলক কার্যক্রমে লিপ্ত না হতে পারে, সে পদক্ষেপও গ্রহণ করছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এসব এলাকার কিছু কিছু কারখানা এরই মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু কারখানা আংশিক চলছে বলেও জানান তিনি।