ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৩:৫১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

আশুলিয়ায় শ্রমিক লীগ নেতাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

  • আপডেট: Tuesday, June 25, 2024 - 2:48 pm

বিশেষ প্রতিনিধি।।

ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মুন্সির ব্যবসায়িক কার্যালয়ে এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সোহাগ মুন্সীসহ ৩ জন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী মুখে কালো কাপড় ও গামছা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র সহ সোহাগ মুন্সির আফিয়া গ্যাস স্টোরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা রামদা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সোহাগ সহ তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আশুলিয়া থানার ওসি অপারেশন্স নির্মল কুমার দাস।

আহতরা হলেন দক্ষিণ বাইপাইলের মোঃ হরমুজ আলীর ছেলে জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মুন্সি (৩৫)। ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনের ছেলে সাগর (২৫) ও দক্ষিণ বাইপাইলের ইদ্রিস(৫৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, ৪০-৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা চাইনিজ কুড়াল ও পিস্তলসহ মুখের কালো কাপড় ও গামছা বেঁধে সোহাগ মুন্সির আফিয়া গ্যাস স্টোর এর হামলা চালায়। তারা দোকান ভাঙচুর সহ সোহাগ মুন্সি ও তার শ্যালক সহ তিনজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরের তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ সময় ভুক্তভোগী সোহাগের বাবা হরমুজ আলী বলেন, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে পরপর দুইটা গুলির শব্দ ও পরে একটা বিকট শব্দ শুনে আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসে দেখি প্রায় ৪০/৫০ জনের মতো একদল সন্ত্রাসী আমার ছেলের অফিসে হামলা চালায়। তাদের প্রত্যেকের হাতে রামদা আর চাইনিজ কুড়াল ছিলো। তারা আমার ছেলে সোহাগের ব্যবসায়িক অফিসের গ্লাস ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আমার ছেলে সোহাগ, সাগর ও ইদ্রিসকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে।
পরে স্হানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্হায় সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান। কিন্তু কে বা কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু না বলে চুপচাপ থাকেন।

এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা আহত হয়েছে তাদের অবস্থা ভালো নয়। তাদের অবস্থা কি হয় দেখি, তারপর আমরা থানায় মামলা দায়ের করবো।

আশুলিয়া থানা পুলিশের ওসি অপারেশন্স নির্মল দাস বলেন, রাতের সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্হল পরিদর্শন করি। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।