আশুলিয়ায় যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ইউসুফ আলী খান।।
আশুলিয়ায় যৌতুকের দাবীতে শারীরিক নির্যাতন করায় স্বামীসহ শশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার এনায়েতপুর গ্রামের ইসলাম কন্টাকটারের ছেলে মোঃ ফজলে রাব্বি (২৪), ফজলে রাব্বির মা মোছাঃ মোর্শেদা বেগম (৪৮) ও বাবা ইসলাম কন্ট্রাকটার (৫৫) এবং তার ভাই মোঃ রিফাত আহমেদ (১৯)।
ভুক্তভোগী স্ত্রী শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মালতকান্দীর এলাকার মোঃ বাবুল সিকাদারের মেয়ে মোছাঃ মুন্নি আকতার (১৯),। মুন্নী আকতার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত ২১ মার্চ ২০২৩ সালে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক ফজলে রাব্বির সাথে মুন্নি আকতারের বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতে রাব্বি বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য স্ত্রী মুন্নিকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। সেই সাথে শ্বশুড় ও শাশুড়ীর ইন্দনে ও কুপরামর্শে রাব্বি মুন্নির কাছে ১২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে।
ভুক্তভোগী স্ত্রী মুন্নি যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাব্বি নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সাথে ৪ নং অভিযুক্ত ব্যক্তি রিফাত মুন্নিকে নানা ভাবে খারাপ প্রস্তাব দেয় এবং মাঝে মধ্যে জোর পূর্বক মুন্নির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ বিষয়ে মুন্নি তার স্বামীকে জানাইলে সে কোন গুরুত্ব না দিয়ে উল্টা ভুক্তভোগী মুন্নিকে বিভিন্ন ভয় ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় মুন্নি ৫ মাসের অন্তসত্তা। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজসে মুন্নির গর্ভের ৫ মাসের সন্তান নষ্ট করার পায়তারা করতে থাকে। গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে বিকাল আনুমানিক বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী মুন্নিকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে ১ নং বিবাদী ভুক্তভোগী মুন্নির স্বামী ও অন্যান্য বিবাদীগণ।
এসময় মুন্নি অচেতন হইয়া পড়িলে ভুক্তভোগী মুন্নির পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং মুন্নীকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী মুন্নী বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী শ্বশুর শাশুড়ির কুপরামর্শে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য আমাকে মারধর করে এবং আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। তারা আমার পাঁচ মাসের গর্বের সন্তান কেও নষ্ট করার চেষ্টা করে। আমি বড়ই দূঃসচিন্তায় আছি আমার শ্বশুর শাশুড়ীর কুপরামর্শে আমার স্বামী যে কোন সময় আমাকে তালাক প্রদান বা আমাকে এবং আমার গর্বের সন্তানকে হত্যা করার সহ যেকোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মিলন ফকির বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ আমি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।