ঢাকা | জানুয়ারী ৩০, ২০২৫ - ৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

আশুলিয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নারীকে ধর্ষণ

  • আপডেট: Friday, January 24, 2025 - 11:46 am

ইউসুফ আলী খান।। ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকার জনগণ।

বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারী) আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল নরসিংহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী নারী ঝালকাঠি জেলার নুর আলম এর মেয়ে। তিনি মা বাবার সাথে আশুলিয়ার নরসিংহপুর বকুল মীর এর বাসায় ভাড়া থাকেন। অপরদিকে অভিযুক্ত আশরাফ কাজী মানিকগঞ্জ জেলার মোহাম্মদ কাজীর ছেলে। সে নরসিংহপুরে জমি কিনে বাড়ী বানিয়ে বসবাস করে আসছেন।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন আশরাফ কাজীর বাসার ভাড়াটিয়া ছিলাম। সে আমাকে বোন আর আমার স্বামীকে ভাই বানিয়ে আমাদের এখানে আসা যাওয়া করিত। যখন জানতে পারলাম সে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে তখন তার বাড়ী থেকে আমরা চলে আসি এবং আমার মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। গতকাল আমার মেয়ে বাড়ী থেকে আসছে। আমি এবং আমার স্বামী কর্মস্থলে চলে যাওয়া পর আশরাফ আমার বাসায় এসে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে খবর পেয়ে আমি বাসায় আসি। বাসায় এসে আমার মেয়ের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলে আশরাফ তাকে অস্ত্র দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে আটক করে মারধর করে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার মা বাবার সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর আশরাফ এর বাড়ীতে ভাড়া থাকতাম। সে সময় আশরাফ আমাকে একটি রুমে আটকিয়ে জোরপূর্বক আমার খারাপ ভিডিও করে। পরবর্তীতে সে সব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। পরে এসব জানাজানি হওয়ার পর তার বাসা থেকে আমাদেরকে রাতে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনার দিন বেলা ১২ টার দিকে আশরাফ কাজী ছুড়ি নিয়ে আমার বাসায় এসে রুমে ঢুকে আমার গলায় ছুড়ি ধরে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে। আমার ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের রুমের লোকজন এসে তাকে আটক করে। আমি এর নৃশংস ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জনগণ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায় করে। অভিযুক্ত আশরাফ আলী গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং ভুক্তভোগী নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।