আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
চট্রগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রিপন দাস (২৭) নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটার হরিস চন্দ্র লাইন এলাকার বাসিন্দা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে রঙ্গম কনভেনশন হলের মেথরপট্টি এলাকায় সেদিন নীল রঙের টি-শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরিহিত রিপনকে বটি হাতে সাইফুলকে কোপ দিতে দেখা যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। রিপনের মাথায় ছিল লাল হেলমেট।
পুলিশ জানিয়েছে, আইনজীবী আলিফ হত্যার পর রিপন আত্মগোপনে চলে যান। তিনি এজাহারনামীয় আসামি না হলেও আইনজীবী আলিফ খুনের ভিডিও দেখে তাকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আনোয়ারা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনজীবী আলিফ হত্যায় তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। হত্যার ভিডিওতে নীল রঙের গেঞ্জি পরা ছিলেন চন্দন। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে খুন করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।