অবরোধ না ওঠা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে – জেলা প্রশাসক,খাগড়াছড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর ডাকা সড়ক অবরোধ চতুর্থ দিনেও চলছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে আংশিকভাবে যান চলাচল শুরু হলেও দূরপাল্লার বাস পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শহর ও উপজেলায় অভ্যন্তরীণ সড়কে সীমিতসংখ্যক অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে।
সকাল থেকে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শাপলা চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকায় জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সড়কে মানুষের চলাফেরা ছিল খুবই সীমিত। কয়েকজন একসঙ্গে চলাফেরা করলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জেলার পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ টহল অব্যাহত আছে। সোমবার থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
গত রোববার গুইমারার রামেসু বাজার এলাকায় অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অবরোধকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় গুলি ছোড়া হলে তিনজন নিহত হন। নিহতরা সবাই পাহাড়ি সম্প্রদায়ের-আথুই মারমা (২১), সিন্দুকছড়ি; আথ্রাউ মারমা (২২), হাফছড়ি; তৈইচিং মারমা (২০), রামেসু বাজার এলাকা।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহম্মেদ জানান, ঘটনায় আহত ১৪ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।সংঘর্ষের পরপরই জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি সদর, পৌরসভা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকার বলেন, “অবরোধ না ওঠা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।”