অনিশ্চয়তায় বসবাস করছে কুতুবদিয়ার মানুষ: এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ

এআর আব্বাস সিদ্দিকী (কক্সবাজার)। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দেশের অন্যতম দ্বীপ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া। বহুবছর আগে এ দ্বীপের চারপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে একটি বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের প্রতিটি ঢেউয়ের আঘাতে এই বেড়ীবাঁধটি প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, বর্ষাকালে কুতুবদিয়াবাসী উদ্বিগ্ন জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের উৎপাদিত ফসল, বাড়ি-ঘর, গবাদিপশু এবং নিজেদের জীবন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
কুতুবদিয়ার দেড় লাখ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ীবাঁধ মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া, অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্যও এ দ্বীপকে বাঁচাতে বেড়ীবাঁধ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন মঙ্গলবার সকালে নিজ জন্মস্থানে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ীবাঁধ পরিদর্শনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সাংসদ এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর কুতুবদিয়ার বেড়ীবাঁধ মেরামতের বরাদ্দের পুরোপুরি কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবহেলিত বেড়ীবাঁধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া রক্ষায় টেকসই বেড়ীবাঁধ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। তবে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হলেও, কুতুবদিয়ার দ্বীপ রক্ষার্থে বেড়ীবাঁধের উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা যেন বেহাত না হয়, তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াত ইসলামী আমীর আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী, সেক্রেটারি নুরুল আমিন, ধূরুং ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু মুসা, উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, মাওলানা ফারুক, ছৈয়দ আলম, মোহাম্মদ আমিন এবং সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীসহ আরও অনেকে।