অত্যধিক খরা ও শিলা বৃষ্টিতে লিচু বেপারীদের মাথায় হাত
কটিয়াদী থেকে রতন ঘোষ : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা সংলগ্ন পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু যেমন দেশে সুনাম, তেমনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে ও যায় এই লিচু । জৈষ্ঠ মাস মধুমাস, আর এই মধু মাসের মধ্যে অত্যন্ত লোভনীয় ফল লিচু। তবে লিচু সাধারণত এলাকাভিত্তিক ফলনেই তার চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। এবার দীর্ঘমেয়াদী খরা এবং শেষের দিকে শিলাবৃষ্টির কারণে রসালো এলিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একদিকে খরা যেমন অকালে ঝরে গেছে মুকুল তেমনি অপরদিকে ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে, যে লিচু গুলি ঝুলছিল গাছে সেগুলোর ও প্রায় তিন চতুর্থাংশ নষ্ট হয়েছে শিলা বৃষ্টিতে। তারপরও যেগুলো টিকে আছে সেগুলিরও একটি অংশ ফেটে গেছে, এগুলোর উপর মাছি ভনভন করছে এবং লিচুর গায়ে বচনের কালচে দাগও দেখা যাচ্ছে। গাছের মালিকও ব্যাপারীদের ধারণা এবার লিচুফলনের চারভাগের এক অংশ পাওয়া যাবে। তাও আবার তেমন পুষ্ঠ ও হতে পারেনি। এলাকার গাছের মালিকরা সাধারণত গাছে মুকুল বের হলেই আগাম ব্যাপারীদের নিকট লিচু বিক্রি করে দেন। কিন্তু এবার ক্রয়-কৃত ব্যাপারীরা পড়েছেন বিরাট ক্ষতির মুখে। লিচুর ফলন অত্যন্ত কম হওয়ার কারণে লিচুর দামও এবার বেশি। বর্তমানে এক শত লিচু বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়, যা গত বছর এদিনে বিক্রি হয়েছিল প্রতি একশত লিচু ৫০০/৬০০ টাকায়।সম্প্রতি মঙ্গলবাড়িয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়িতেই সারি সারি লিচু গাছ,তবে এ সমস্ত লিচু গাছে অল্প পরিমাণ লিচু ঝুলতে দেখা গেলেও বেশিরভাগ গাছই ফাঁকা। সেখানে কর্মরত ব্যাপারী রাইতুল্লা ও আব্দুর রহিম জালালেন এবার ৬৫ টি লিচু গাছ ক্রয় করেছিলেন ৮ লাখ টাকায়।কিন্তু ফলনের অবস্থা দেখে তারা বর্তমান লিচু বিক্রি করে দুই লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা সন্দেহ প্রকাশ করছেন।মঙ্গলবাড়ীয়া বাসী এবারের মত এরকম বৈড়ী আবহাওয়া আর কখনো দেখেননি বলে ও তারা জানান।