ঢাকা | ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ - ৬:৫২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঝুকিপূর্ণ ভব‌নে প‌রীক্ষা, ছা‌দের প‌লেস্তারা খ‌সে আহত ৩

  • আপডেট: Monday, October 30, 2023 - 7:09 pm

সোহরাওয়ার্দী ক‌লেজ প্রতি‌নি‌ধি।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নিদিষ্ট সময়ে দুপুর একটায় শুরু হয়। পরীক্ষার্থীরা যে যার মত লিখছে, পরীক্ষার হলে পিন পতন নিরাপত্তা। ঘড়িতে সময় তখন বিকেল ৪ টা বেজে ৪৫ মিনিট। আর মাত্র ১৫ মিনিট পরে শেষ হবে পরীক্ষা, কাজেই তখন চলছে খাতায় রিভিশন দেওয়ার কাজ।

এমন সময় হঠাৎ দুমড়েমুচড়ে বিকট শব্দে সিমেন্টের এক খন্ড টুকরো চলন্ত ফ্যানে প্রতিফলিত হয়ে পড়লো তিন পরীক্ষার্থীর মাথায় উপর। মুহুর্তেই পরীক্ষায় খাতা রক্তের লাল বর্ণে রঙিন হয়ে উঠলো। আতঙ্ক কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুরো পরীক্ষার হলে ছড়িয়ে পড়লো। বাকী পরীক্ষাটুকু আর দেওয়া হয়নি সোহরাওয়ার্দী কলেজে পুরাতন ভবনের ৩১৪ নাম্বার রুমের পরীক্ষা দিতে আসা কবি নজরুল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত ইমনের।

পরীক্ষার হলে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়ার সময়ে পাশে থেকে এভাবেই আজকের ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন, ইয়াছিন আরাফাতের বন্ধু ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুন নূর।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) এ ঘটনায় আহত হন কবি নজরুল কলেজের তিন শিক্ষার্থী। আহত তিনজন শিক্ষার্থী হলেন, বাংলা বিভাগে ইয়াসিন আরাফাত ইমন, সোনিয়া এবং অর্থনীতি বিভাগের আনাস। তারা সকলেই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ন্যাশনাল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদুল হাসান জানান, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। এরপরে সমস্যা হলে সিটি স্ক্যান করাতে হবে। এছাড়াও প্রতি তিন দিন পর পর ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করাতে হবে।

গুরুতর আহত শিক্ষার্থী ইমন জানান, ‘আমি লিখছিলাম। হঠাৎ করেই গুলির মতো ইটের এক পলেস্তারা আমার মাথা লাগে। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারিনা। আমার মাথা ফেটে গেছে। সেলাই পড়েছে। আমি এখন চিকিৎসার এতো টাকা কোথায় পাবো। আর আমার সামনে আরো পরীক্ষা আছে এগুলোই বা দেব কিভাবে। আমি কিছু জানি না।’

এব্যাপারে মুঠোফোনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবির বলেন,”ঘটনার সময় আমি কলেজেই ছিলাম। ঘটনার সাথে সাথেই যে ছেলেটির মাথা ফেটেছে। তাকে এবং আমাদের পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ককে দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।”

ঐরুমে আবারো পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা জনতে চাইলে তিনি বলেন,”আমাদের আর বিকল্প নেই। ভবনটি সংস্কারের জন্য আমরা চারবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আজও তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ”আমার নির্দেশ ছিল পুরাতন প্লাস্টার যেগুলো অলতো অবস্থায় আছে সেগুলো ফেলে দেওয়ার কথা জন্য। কিন্তু কর্মচারীদের অসর্তকার কারণেই ঘটে আজকের দূর্ঘটনা।’