ঢাকা | অক্টোবর ১৬, ২০২৪ - ৫:১৮ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারের জান্তা সরকার ফোনে ভিপিএন চালু করলেই করছে গ্রেফতার

  • আপডেট: Saturday, June 15, 2024 - 1:25 pm

জাগোজনতা অনলাইন : মায়ানমারের জান্তা সরকার স্মার্টফোনে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার বন্ধ করার চেষ্টা করছে এবং সামাজিক মাধ্যমে গোপনীয়তার ক্ষেত্রে কাজ করে এমন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছে ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পরে সরকার ফেসবুক, অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এবং স্বাধীন মিডিয়া সাইটগুলিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো।
সরকারের দেয়া বিবিধ বাধাগুলি বাইপাস করার জন্য, ভিপিএনগুলি শাসন থেকে ব্রাউজিং ইতিহাস এবং ফোনের অবস্থানগুলি লুকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

মে মাসের শেষের দিকে জান্তা সরকার ভিপিএনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল এবং এই সপ্তাহে ইয়াঙ্গুন, মান্দালে, আইয়ারওয়াদি, বাগো এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলে সংবাদকর্মীদের পরিদর্শনের সময় জান্তা সরকারের পুলিশ বাহিনির স্থানীয়দের উপরে চাঁদাবাজির খবর পাওয়া গেছে।
দুই প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, বুধবার বিকেলে ইয়াঙ্গুনের থিঙ্গাঙ্গুন টাউনশিপে দুই তরুণীকে একটি রাস্তায় তল্লাশি করা হয়েছিল, এ সময় তাদের ফোনে ভিপিএন ব্যবহার করতে দেখা গেছে এবং তাদের আটক করা হয়।

পরে আমরা শুনেছি যে তাদের একটি থানায় দুই দিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল, যতক্ষণ না তাদের বাবা-মা প্রত্যেকে কমপক্ষে ১ মিলিয়ন কিয়াট প্রায় ২৩০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে তাদের না ছাড়িয়ে নেয়, বলছিলেন সেখানকার স্থানীয় একজন বাসিন্দা।
ইয়াঙ্গুনের হ্লাইং এবং শ্বেপিথার টাউনশিপেও একই ধরনের অনেক গুলি ঘটনা ঘটেছে।
কেন্দ্রীয় ইয়াঙ্গুনের কিয়ুকতাদা টাউনশিপে, মঙ্গলবার রাতে একটি বার এবং কাছেই একটি ছাত্রাবাসে পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছিল এবং তিন তরুণ ওয়েটারকে পুলিশ আটক করেছে, স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।

সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ বলেছে যে তারা ডরমেটরিতে আগত অতিথিদের নিবন্ধন পরিদর্শন করছে কিন্তু তারা তার পরিবর্তে ভিপিএনের জন্য ফোন চেক করেছে, তিনি বলেছিলেন।
এ সময় সেখান থেকে পুলিশ তিন ওয়েটারকে আটক করে নিয়ে যায় এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি।
জান্তা-মালিকানাধীন সরকারি কারখানায় গুলিতে ভিপিএন পরিদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। ১ লক্ষ থেকে ৩ মিলিয়ন কিয়াট পর্যন্ত জরিমানা করেছে অনেককেই।
ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, জান্তা সরকার তথ্যের প্রবাহ সীমিত করতে চায়।