ঢাকা | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৫:৩৮ অপরাহ্ন

মিতু হত্যা মামলায় হাই কোর্টে জামিন পেলেন এসপি বাবুল

  • আপডেট: Wednesday, November 27, 2024 - 10:17 am

জাগোজনতা অনলাইন : স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, “হাই কোর্টের আদেশ চট্টগ্রাম আদালতে পৌঁছালে তারপর কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বাবুল আক্তার।”

এর আগে গত ১৪ অগাস্ট মিতু হত্যা মামলার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন করা হয়েছিল।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৮ অগাস্ট জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত।

স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি বাবুল আক্তার গত সাড়ে তিন বছর ধরে কারাগারে আছেন। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন।

এখন পর্যন্ত মিতু হত্যা মামলায় মোট ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে । এই মামলায় মোট সাক্ষী ৯৭ জন।

গত বছরের ৯ এপ্রিল মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যের মধ্যে দিয়ে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ইতিমধ্যে মিতুর মা শাহেদা মোশাররফসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এসপি বাবুল আক্তার ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

ঘটনার পর টানা সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এরপর ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের ‘পরিকল্পনায়’। আর এজন্য খুনিদের ‘লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন’ বাবুল।

পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় এবং মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে মিতুর বাবার করা সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই আবার পুনরুজ্জীবিত হয়।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এরপর ওই বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত