ঢাকা | অক্টোবর ১৬, ২০২৪ - ৪:১১ পূর্বাহ্ন

ভোলায় শীতের দাপটে তিন দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের

  • আপডেট: Sunday, January 14, 2024 - 2:23 pm
এএসটি সাকিল:-  পৌষ মাসের শেষ সময়ে দেশের সবচেয়ে দক্ষিণের ভোলা জেলায়  ঘন কুয়াশা, বেড়েছে শীতের তীব্রতা
তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনভর চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা থাকছে বীরগঞ্জের জনপদ। আবহাওয়া অফিস বলছে,ঠান্ডার তীব্রতা আরও দু-এক দিন চলতে পারে।
কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে ভোলার নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে আছেন অনেকেই। বিশেষ করে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন তারা।
বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের অভাবে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। পেটের তাগিদে বাহির হলেও আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে।
গত -তিন – ৪ দিন ধরেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে ভোলায় । কুয়াশার মাত্রা বেশি হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। ভোররাত থেকে শুরু করে অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশা ঝরছে। ঠিক যেন কুয়াশার বৃষ্টি ঝাড়ছে। যার কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হয়। সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন তেমন একটা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সড়কে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় রোজগার কমায় বিপাকে পড়েছেন ভ্যান-রিকশাচালকরা। একইভাবে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো।
ভোলার  ভ্যান চালক ইব্রাহিম বলেন, ‘কয়েক দিন শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে শীতের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। যত দিন যাচ্ছে তত শীতের মাত্রা বাড়ছে। বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে। এত পরিমাণ কুয়াশা ঝরছে যে কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত ঠিকমতো কোনও কিছু দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও মনে হচ্ছে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। এতে করে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। এতে করে ঠিকমতো যাত্রী পাছি না। আবার পেটের তাগিদে বাহির হলেও আয় রোজকার তুলনামূলক ভাবে কম হচ্ছে। এতে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের মতো মানুষদের। তার ওপর গরম কাপড়ের অভাব তো রয়েছে। সব মিলিয়ে শীতের কারণে আমাদের খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দি জেলেঘাট সংলগ্নের জেলেরা বলেন,নদনদী ও পুকুরে মাছ ধরতে যাচ্ছি। কষ্ট করি এক ঘণ্টা মাছ ধরতে পারিনা। কিন্তু প্রচন্ড ঠান্ডায় জমে হাত-পাও কোঁকড়া লাগি গেছে,আর কুয়াশাতে কিছুই দেখাও যায় না। ওই জন্যে আইজ আর মাছ মাছ ধরা হইল না। বাড়ি যাইছি। এত ঠান্ডা থাকলে আমাগো  জালে মাছ পড়বে না। কষ্টে দিন কাটান নাইগবে।
স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকগণ   বলেন,’ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় আছি। এর মধ্যে প্রতিদিন সকালে স্কুলে নিয়ে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ঠান্ডায় কখন বাচ্চাদের শীররে অসুখ বাঁধে সেই চিন্তায় আছি। কয়ক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। বাতাসে কারণে তীব্র ঠান্ডায়  জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।