ঢাকা | ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ - ৪:৫২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বাড়ছে তাপমাত্রা চলবে এপ্রিলজুড়েই

  • আপডেট: Saturday, April 20, 2024 - 9:12 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে কয়েকদিন ধরে চলা গরমের তীব্রতার মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দুই জেলায় এখন চলছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। শনিবার যশোরে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা বলছিলাম তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে; আজকে সেটা ছাড়িয়ে গেছে। সামনে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।”

তাপপ্রবাহ এপ্রিল জুড়েই থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “পরের মাসেও গরম থাকবে, তবে কী পরিস্থিতি হবে- সামনে বোঝা যাবে।”

আগে থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছিল দেশের অনেক এলাকা। এর মধ্যে শনিবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা আরও বেড়ে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মত ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।

দেশজুড়ে এমন খরতাপ পরিস্থিতিতে দেশের সব স্কুল-কলেজ সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নিজেদের অধিভুক্ত কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাসের বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। এর আগে চার দিন ধরে টানা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়; তবে তা ৪২ ডিগ্রি হয়নি।

এ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চলতি মৌসুমে যা সর্বোচ্চ। আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, “২৪-২৫ এপ্রিলের দিকে তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমে আসলেও এ মাসজুড়েই বিরাজ করবে তাপপ্রবাহ।

“তখন অতি তীব্র থেকে তীব্র, তীব্র থেকে মাঝারি এমন থাকবে, তবে তাপপ্রবাহ যে চলে যাবে- তা না। এ মাসে বড় পরিসরে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাও নেই। বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে- যেমন, সিলেটের দুয়েক জায়গায় সামান্য গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি।”

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৯৫ এবং ২০০২ সালেও সমান তাপমাত্রা উঠেছিল, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, দেশে আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা শুরুর পর এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নজির।

দেশের ৪৩ জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগের বাকি অংশ, রাজশাহী ও পাবনা জেলা এবং ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে।

ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর, রাঙামাটি; রাজশাহী বিভাগের বাকি ছয় জেলা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। এ মাসে গরমের পাশাপাশি কালবৈশাখীরও দাপট থাকে বেশি।