ঈদ যাত্রায় সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
মিরসরাই প্রতিনিধি : এ.এইচ. সেলিম।।
ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দ নির্বিঘ্ন করতে এবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এরই মাঝে পুরো মহাসড়ক সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামরায় পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ফেনী জেলার পর চট্টগ্রাম জেলার প্রবেশদ্ধার ধুমঘাট ব্রিজ থেকে বড় দারোগারহাট পর্যন্ত মিরসরাই অংশের ৩০ কিলোমিটার সড়কে সারাদেশের মতো তৎপর রয়েছে পুলিশ।
মহাসড়কের পাশে অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি জব্দ, তিন চাকার গাড়ি আটক এবং ছিনতাই রোধে কুইক সার্ভিস টিম প্রস্তুত রয়েছে। সড়কে বিকল গাড়ি মেরামতের জন্য ৪টি গেরেজ, ১টি রেকার, দুর্ঘটনায় জরুরি সেবা দিতে ১টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানাপুলিশের ওসি সোহেল সরকার। তিনি আরও বলেন, সড়কে কোনো সমস্যা হলে কুইক সার্ভিস নাম্বারে (০১৩২০১৮৩৪৪৭) ফোন করলে মুহূর্তের মধ্যে পুলিশ সেবা মিলবে। এ ছাড়া টইল পুলিশের নাম্বারে (০১৩২০১৮৩৪৪৮) ফোন করলেও তাৎক্ষণিক পুলিশ আসবে।
পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) চুরি-ডাকাতি রোধে মহাসড়কের পাশাপাশি বারইয়ারহাট রামগড় সড়কে রাত দিন টইল বৃদ্ধি করেছে। র্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, বুধবার মহাসড়কে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের সময় মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিরসরাই সদরের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন জানান, সড়কের পাশে যত্রতত্র স্থাপনা, অবৈধ পার্কিং, ইউটার্নগুলোর মুখে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। মিরসরাই সদরে সব সময় সড়কের দুই পাশে গাড়ির পার্কিংয়ের কারণে দুর্ঘটনায় একজন নারী সম্প্রতি নিহত হয়েছে। এসব না সরালে ঈদে বাড়তি গাড়ির চাপে যানজটসহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক ইনসপেক্টর (মিরসরাই সদরে দায়িত্বপ্রাপ্ত) নূরে আলম বলেন, মহাসড়কের যেসব এলাকায় বাজার ও বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিষিদ্ধ তিন চাকার গাড়ি মহাসড়কে ফেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহাসড়কের একাধিক স্থানে সিসিক্যামরার মাধ্যমে সড়কের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।